" করোনা পাশবালিশ " নিয়ে রাস্তায় শুয়ে প্রতিবাদে বিজেপি শেওড়াফুলিতে

2nd June 2020 হুগলী


নিজস্ব সংবাদদাতা ( শেওড়াফুলি ) :  " করোনা পাশবালিশ " নিয়ে রাস্তায় শুয়ে পড়লেন বিজেপি কর্মীরা । হুগলীর শেওড়াফুলি উদয়ন সিনেমা হলের সামনে অভিনব প্রতিবাদে গেরুয়া শিবির । " কেনার আগে পিসি র ফটো দেখে কিনবেন " বলেও তীব্র কটাক্ষ লেখা রয়েছে পাশবালিশে । সম্প্রতি নবান্নে মুখ‍্যমন্ত্রী মমতা বন্দ‍্যোপাধ‍্যায় সাংবাদিকদের সামনে করোনা সম্পর্কে বলতে গিয়ে করোনাকে পাশবালিশ করে ঘুমাতে হবে বলে মন্তব‍্য করেছিলেন । বিজেপি র অভিযোগ রাজ‍্যে করোনা নিয়ন্ত্রণে সম্পূর্ণ ব‍্যর্থ মুখ‍্যমন্ত্রী । নিজেদের ব‍্যর্থতা ঢাকার জন‍্য এরূপ মন্তব‍্য করেছেন বলে অভিযোগ । এই মন্তব‍্যের প্রতিবাদ জানিয়ে ধর্নায় শেওড়াফুলি মন্ডলের  বিজেপি কর্মীরা । করোনা পাশবালিশ দেখার জন‍্য থমকে পড়লেন বহুজন রাস্তায় ।

বিজেপি র এধরনের আন্দোলন সম্পর্কে পাল্টা প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন হুগলী জেলা তৃণমূলের সভাপতি দিলীপ যাদব । বিজেপি অর্ধশিক্ষিত , মূর্খের দল বলে কটাক্ষ করেছেন তিনি ।





Others News

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) :  নিম্ন চাপের জেরে শনিবার থেকে অকাল বৃষ্টিতে মাথায় হাত চাষীদের।
জেলায় আলু চাষে ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়ে যাবে কয়েক লক্ষ টাকার উপর বলে দাবি চাষীদের। ধান জমিতে যেমন ক্ষতির পাশাপাশি হুগলী জেলা জুড়ে ব্যাপক ক্ষতি এবার আলু চাষে। চলতি বছরে বার বার নিম্নচাপ  চাপের জেরে যেভাবে ধান চাষ পিছিয়ে ছিল ঠিক আলু চাষও পিছিয়ে ছিল প্রায় পনোর দিন। তবে গত শুক্রবার পযন্ত হুগলী জেলায় প্রায় ৩০ শতাংশ জমিতে বসানো হয়ে গিয়েছিল আলু এবং ৬০ শতাংশ জমি আলু চাষ উপযোগী করে তুলে ছিলেন চাষীরা। ধান চাষের মত আলু চাষের শুরুতে এবার কাল হয়ে উঠলো অকাল বৃষ্টি। অকাল বৃষ্টির ফলে যে সব জমিতে ইতি মধ্যেই আলু বসানো হয়ে গিয়েছিল, সেই সব জমিতে জল জমে থৈ থৈ করছে। ফলে জমিতে বসানো সমস্ত আলু বীজ পচে নষ্ট হতে বসেছে।  কারণ আলু বসানোর পর অন্তত পনেরো থেকে কুড়ি দিন কোনো জলের প্রয়োজন পরে না আলু চাষের ক্ষত্রে।
এ বছর এক বিঘা জমিতে চাষ উপযোগী করে আলু বসানো পযন্ত চাষীদের খরচ পড়েছে প্রায় পনেরো হাজার টাকা অন্যদিকে আলু বসানোর আগে পর্যন্ত  এক বিঘা জমিকে  চাষ উপযোগী করে তুলতে খরচ পড়েছে প্রায় সাত হাজার টাকা। অর্থাৎ ইতি মধ্যে নিম্ন চাপের জেরে অকাল বর্ষণে হুগলী জেলার ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়েছে লক্ষ  লক্ষ টাকার উপর। জেলায় আলু চাষের জমির পরিমান ৯০ হাজার হেক্টর জমি। সেমবার সকাল থেকেই  আলু জমি থেকে জল বের করে আলু বীজ বাঁচানোর মরিয়া চেষ্টা করছেন চাষীরা। চাষীদের দাবি অকাল বর্ষণে একেবারে সর্বস্বান্ত  হয়ে পড়েছে। আবার নতুন করে আলু বসানো বা জমি তৈরি করে আবার আলু বসানো অনেকের পক্ষেই আর সম্ভব হবে না।
অন্যদিকে আবহাওয়া উপযোগী হলে পুনরায় জমি আলু চাষের উপযোগী করে আলু বসাতে সময় লাগতে পারে পনেরো থেকে কুড়ি দিন। ফলে আলু চাষে ফলন যেমন কমবে খাবার আলুর জোগানেও পড়বে টান। আগামী দিনে ধানের ক্ষতির ফলে যেমন  চালের যোগান টান পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।  ঠিক তেমনি আগামী দিনে খাবার আলুর জোগানেও টান পড়বে বলে মত চাষীদের।